খোশবাস বার্তা’কে দুর্ঘটনার খবরটি নিশ্চিত করেছেন হানিফের বড় ভাই দেশের স্বনামধন্য ড্রাম বাদক মানিক আহমেদ, সংগীতশিল্পী ইমরান ও কি-বোর্ড বাদক আসাদ।
কি-বোর্ড বাদক আসাদ জানান, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পার্থ গুহ। দুর্ঘটনায় আহত সবাইকে জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার হানিফকেও মৃত ঘোষণা করেন। গাড়িতে থাকা তরুণ সংগীতশিল্পী বিউটি খান, নন্দন, রাহাত, পাপ্পু এবং তাওহীদও মারাত্মক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিউটি খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, গতকাল (শুক্রবার) রাতেই চাঁদপুরে একটি শো করে ফিরেছিলেন তারা। সেখানে গান করেছিলেন কনা ও ইমরান। শো শেষে রাত ৩টার দিকে মেঘনা ব্রিজের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অপর একটি মাইক্রোবাসে করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।
এদিকে ইমরান ‘খোশবাস বার্তা’কে’ বলেন, ‘চাঁদপুরে আমি আর কনা আপু একই শোতে ছিলাম। কিন্তু সময়ের ব্যবধানের কারণে আমাদের দেখা হয়নি। হানিফ ভাই কনা আপুর সঙ্গে বাজিয়েছিলেন। রাতে ঢাকায় ফেরার পথে মেঘনা ব্রিজের কাছে হানিফ ভাই নেমে পার্থ দাদার সঙ্গে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এমন মৃত্যু সত্যিই মানা যায় না! আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’
ইমরান আরও যোগ করেন, ২০০৮ সালের সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার সময় প্রয়াত এই দুই মিউজিশিয়ানই তার সঙ্গে বাজিয়েছিলেন। দিনগুলোর কথা স্মরণ করে কেঁদে উঠেন এই গায়ক।
হানিফ আহমেদ ও পার্থ গুহ দুজনেরই বাড়ি কুমিল্লায়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন প্রজন্মের অসংখ্য শিল্পীর সঙ্গে বাদ্য বাজিয়েছেন তারা। তাদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনে। প্রতিটি শিল্পী এবং মিউজিয়িশানের ফেসবুক যেন এখন শোক বই।