তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগে ছিলেন। মৃত্যকালে তিনি এক ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক ও এক মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞাসহ অসংখ্য গুগাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার লাশ এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে। ছেলে-মেয়ের অপেক্ষায় স্বজনরা। তারা দেশে ফিরলে ১৫ জুলাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে এই কিংবদন্তীর।
বিদেশে চিকিৎসা শেষ করে গত ১১ জুন দেশে ফেরার পর থেকে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর তার বোনের বাড়ি রাজশাহীর মহিষবাথানেই ছিলেন। এই বাড়িতেই সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্লে-ব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। পরে শিল্পীর নিথর দেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। সেখানেই রয়েছেন দেশের জনপ্রিয় এই শিল্পীর মরদেহ।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই শিল্পীর বোন জামাই ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস বলেন, ‘৮ জুলাই রাতে এন্ড্রু কিশোরের ছেলে এন্ড্রু জুনিয়র সপ্তক অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরবেন। তবে শিল্পীর মেয়ে সংজ্ঞার ফিরতে দেরি হচ্ছে। সে ফিরবে আগামী ১৩ জুলাই রাতে। ১৪ জুলাই সকালে রাজশাহীতে পৌঁছাবে। এরপর ১৫ জুলাই কিশোরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
যেভাবে হবে শেষকৃত্য: ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস বলেন, ১৫ জুলাই সকাল ৯টার দিকে মরদেহ সিটি চার্চে নিয়ে ধর্মীয় আচার শুরু করা হবে। সাড়ে ৯টায় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত। এন্ড্রু কিশোরের ইচ্ছা অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে নেয়া হবে। সেখানে তার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেয়া হবে।
এরপর মরদেহ রাজশাহী কলেজে রাখা হবে। সেখানেও ভক্ত-অনুরাগীদের শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেয়া হবে। শ্রদ্ধা জানানো শেষে বেলা সাড়ে ৩টায় এন্ড্রু কিশোরকে সমাধিস্থলে নেয়া হবে।