আমাদের বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে বেশিরভাগই মানুষ যে কোনো ভাবে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন করে থাকেন। এ মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে এক নাম্বার থেকে অন্য নাম্বারে টাকা পাঠানোর সময় ভূল করে অন্য নাম্বারে চলে যায়। এতে আমরা তখন ভেঙে পড়ি। কিন্তু আমাদের তখন ভেঙ্গে পড়লে চলবে না।
আমাদের তখন ধৈর্য ধরতে হবে। মন এবং নিজেকে স্থির করে নিয়ে আমাদের দেওয়া নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করুণ। ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন।
১. আপনার টাকা ভূল নাম্বারে অপরিচিত কারো কাছে চলে গেলে, সাথে সাথে হয়তো আপনি সেই নাম্বারে কল করবেন। যদি কল করেন তাহলে আপনি ভূল করবেন এবং আপনি আপনার হারানো টাকা আর ফিরে পাবেন না। আপনার টাকা চলে গেলে তখন আপনি ভূলেও সে নাম্বারে কল করবেন না। কারণ যদি কল করেন সে ব্যাক্তি বুঝে যাবে এবং সে টাকা তুলে সিম টা বন্ধ করে দিবে। তখন আর কিছু করার থাকবে না।
২. যখন আপনা নাম্বার থেকে টাকা ট্রান্সফার হবে তখন আপনি যে মেসেজ টা পাবেন সেটা আপনি সংগ্রহ করে রাখবেন। আপনি সেটা ভূলেও ডিলেট বা মুছে পেলবেন না।
৩. ভুলবশত কোনো নম্বরে টাকা গেলে প্রথমে কাছের থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেখানে ট্রানজেকশন নম্বর নিয়ে জিডি করে যত দ্রুত সম্ভব সেই জিডি কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
৪. যোগাযোগের পর কর্মকর্তারা জিডি কপি ও মেসেজ খতিয়ে দেখেন। এরপর ভুলে টাকা চলে গেলে ওই ব্যক্তির বিকাশ রকেট বা নগদ অ্যাকাউন্ট টেম্পোরারি লক করে দেয়া হয়। যাতে তিনি কোনো টাকা তুলতে না পারেন।
৫. পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিকাশ কর্মকর্তারা। প্রাপক ফোন ধরে যদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই টাকা নিজের নয় বলে জানান, তখন অফিস থেকেই ওই টাকা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করে কোম্পানিগুলো।
৬. আর যদি ওই ব্যক্তি নিজের টাকা বলে দাবি করেন, তবে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে প্রমাণসহ অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৭. সেই নির্দেশনা না মেনে পরবর্তী ৬ মাসে ব্যক্তি না এলে ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। এর পরবর্তী ৬ মাসেও না এলে অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে অটো ডিজেবল হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ। সঙ্গে থাকুন খোশবাসবার্তা।