মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নামের পাশে ৫/৬ হাজার রান নেই। তাতে কী? সঙ্কটকালে সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটা পালন করেছেন সাফল্যের সঙ্গে। নিচের দিকে নেমেও প্রতিপক্ষ বোলারদের মনে ত্রাস ছড়িয়েছেন ডেথ ওভারে। এতে করে বহু ম্যাচও জিতেছে বাংলাদেশ। যদিও বেশিরভাগ ম্যাচেই ছিলেন পার্শ্বনায়কের ভূমিকায়। কিন্তু এই পার্শ্বনায়কের ছোট ইনিংসগুলোই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দিতে ভূমিকা রাখে। তার এই কৃতিত্ব নিয়ে সেভাবে আলোচনা হয় না। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন তার ভূমিকার কথা।
ক্যারিয়ারের শুরুতে ব্যাট হাতে অতটা আগ্রাসী ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। ঠাণ্ডা মেজাজের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে যেন এগুতো তার সব ইনিংস। ধীরে ধীরে টি-টোয়েন্টির আধিপত্য, ওয়ানডে ক্রিকেটেও অ্যাপ্রোচের বদল টের পেয়ে নিজেকেও বদলেছেন মাহমুদউল্লাহ। এতে করে অবশ্য পার্শ্বনায়ক থেকে মূল নায়কে পরিণত হচ্ছেন।
ইন্সটাগ্রাম লাইভে রবিবার রাতে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। সেই আলাপচারিতায় গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ দলে মাহমুদউল্লাহর ভূমিকা তুলে ধরেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘আমাদের দেশে আমরা কেবল ৭০-৮০ বা সেঞ্চুরিকেই মূল্যবান মনে করি। কিন্তু আপনি এদিক থেকে মাঝেমধ্যে দুর্ভাগা বলে আমার মনে হয়। আপনার ৩০-৩৫ রানের যে ইনিংসগুলি আছে, হয়তো অতটা কৃতিত্ব পায় না। কিন্তু আমরা যারা সতীর্থ, আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে আপনার এই ৩০-৩৫ রানের ইনিংসগুলো কতটা মূল্যবান।’
তামিমের পরের কথাতেই উঠে এলো মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সতীর্থদের গর্বের বিষয়টি, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওসব ইনিংস ৭০-৮০ রানের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটা বলতে চাই, আমরা সতীর্থরা যারা আছি, আপনার এই ৩০-৪০ রান ও নিঃস্বার্থভাবে খেলা, উইকেটে গিয়েই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। এসবে আপনাকে নিয়ে আমরা সবাই গর্ব করি।’