করোনাভাইরাসের দাপটে অফিস–আদালত, ব্যবসা–বাণিজ্য সবই থমকে গেছে। খেলাধুলাও এর বাইরে নয়। অন্য পেশার মানুষেরা ‘হোম অফিস’ করলেও ক্রীড়াবিদদের সেই সুযোগ নেই। ফুটবলার বলুন কিংবা ক্রিকেট , বিশ্বসেরা সব তারকাদেরই এখন অলস সময় কাটছে নিজ বাড়িতে। একটা প্রশ্ন খুব ভালোভাবেই উঠছে, করোনা–পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর মাঠে যখন খেলা ফিরবে, তখন খেলোয়াড়েরা কি পারবেন নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দ ধরে রাখতে?
শ্রীংলঙ্কান ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার চামিন্ডা ভাস। তিনি ব্যাপারটি নিয়ে ভাবছেন। এই তারকা মনে করেন, করোনা–পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পর মাঠে স্বাভাবিক ছন্দ নিয়ে ফিরতে ক্রিকেটারদের একটু সমস্যাই হবে। এ জন্য ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির কাছে তাঁর চাওয়া, খেলোয়াড়দের যেন নিজেদের ফিটনেস ও পারফরম্যান্স ফিরে পেতে একটু সময় দেওয়া হয়।
একটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যমের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ভাস মাঠে খেলা শুরুর আগে খেলোয়াড়দের সময় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন, ‘করোনাভাইররাস–পরিস্থিতির উন্নতি হলে আইসিসির উচিত ক্রিকেটারদের অনুশীলন ও ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য সময় দেওয়া। হুট করেই মাঠে নেমে যেতে পারবেন না কোনো ক্রিকেটার।’
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের ক্রিকেট। এই সময়টা ক্রিকেটাররা কাটিয়েছেন নিজেদের মতো করে। অনেকেই নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখার অনুশীলন করে গেছেন। কিন্তু মাঠে খেলা থাকা আর না থাকার পার্থক্য তো কিছুটা আছেই। ভাস সে কারণেই মাঠে নামার আগে খেলোয়াড়দের জন্য সময় চাচ্ছেন, ‘গত প্রায় দেড় মাস ধরে ক্রিকেটাররা খেলার বাইরে আছেন। এমনকি তাঁরা ঘরেই বন্দি। কঠোর অনুশীলন যেটিকে বলে সেটি তাঁরা এ সময় করতে পারেননি। এমন একটা সময় পেরিয়ে হুট করে মাঠে নেমে যাওয়া প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্যই কঠিন। ক্রিকেট কার্যক্রম শুরু আগে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য একটা সময় দিতেই হবে।
শচীন টেন্ডুলকার কিংবা ব্রায়ান লারাদের যুগেই অন্যতম সেরা উইকেটশিকারী বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ভাস। ভিডিও আলোচনায় তুলে ধরেছেন টেন্ডুলকার ও লারার মতো ব্যাটসম্যানদের বোলিং করার সময় নিজের চিন্তা–ভাবনাটা, ‘আমি যখন টেন্ডুলকার বা লারাকে বোলিং করার জন্য ছুটতাম, তখন মাথায় থাকত যে এঁদের মতো ব্যাটসম্যানরা আমাকে কোনো সুযোগই দেবেন না। ভুল করার সুযোগটা এমন ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে অনেক কম। আমি সব সময়ই ঠিক জায়গায় বল ফেলে সফল হয়েছি। টেন্ডুলকার বা লারাদের ক্ষেত্রেও তা–ই। আমি সব সময় একটা জিনিস মাথায় রাখতাম, আমি তাদের আউট করার জন্য ছয়বার সুযোগ পাব। কিন্তু তারা আউট হয়ে যেতে পারেন একটা বলেই।’