কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় ১০নং গুনাইঘর ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায় নিরঞ্জন শীল (৫৫)। মারা যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে মৃত নিরঞ্জন শীলের হিন্দু প্রতিবেশীরা করোনা সংক্রমণের ভয়ে এগিয়ে না আসায় নিজ ইউনিয়নের বাসিন্দার মৃত্যুর খরব পেয়ে এগিয়ে আসেন দেবিদ্বার উপজেলার ১০নং গুনাইঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল হাকিম খাঁন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত্যু নিরঞ্জন শীল দীর্ঘ দিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন । সে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, ঠান্ডাসহ এ্যাজমা রোগে ভুগছিলো। ৫ মে (মঙ্গলবার) দুপরে করোনা উপসর্গ নিয়ে নিরঞ্জন শীল তার নিজ বাড়ীতে মৃত্যু বরণ করলে তার শেষকৃত্যের জন্য তার পরিবার ও আসে পাশের কোন হিন্দু প্রতিবেশী এগিয়ে না আসাতে লাশটি তার ঘরে পরে ছিলো কয়েক ঘন্টা। নিরঞ্জন শীলের মুত্যুর খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম খান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মমিনুল হক মুন্না মেম্বারসহ আরো কয়েকজন এলাকাবাসী চেয়ারম্যান হাকিম, মৃত নিরঞ্জন শীলে’র পরিবারের সদস্যদের অনুমতি ক্রমে চেয়াম্যান হাকিম খানের নেতৃত্বে মৃত দেহটিকে তার ঘর থেকে বের করে তার লাশটিকে মুসলিম প্রথা অনুযায়ী দাফন সম্পূণ করেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম খান জানান, মৃত নিরঞ্জনশীল করোনা ভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, ঠান্ডাসহ এ্যাজমা রোগে মঙ্গলবার দুপুরে মারা যায়। আমি খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহমেদ কবীর কে জানাই। বিকেলে এসে মৃত নিরঞ্জনশীলের নমুনা সংগ্রহ করে বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
তার মৃত্যুতে করোনা সংক্রামনের ভয়ে তার পরিবার ও কোন প্রতিবেশীরা এগিয়ে না আসায় বিষয়টি অত্যান্ত দু:খজনক। মৃত নিরঞ্জনশীল আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আমারই প্রতিবেশী। তবে আমি সারা দিন রোজা রাখার কারনে ইফতারের পরে মানবিক কারণে আমি নিজে এ ওয়ার্ডের মেম্বার মমিনুল হক মুন্না’কে নিয়ে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়ে মৃত নিরঞ্জন শীলের লাশ সৎকার করি। জন প্রতিনিধি হিসেবে এটি আমার নৈতিক দায়িত্ব ছিল।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহমেদ কবীর জানান, মৃত নিরঞ্জন শীলের দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিল তারপরেও আমাদের লোকজন তার স্যাম্পল সংগ্রহ করেছে এবং তার সৎকারের জন্য দুটি পিপিই দেওয়া হয়েছে।