1. noorazman152@gmail.com : নূর আজমান : নূর আজমান
  2. asifiqballimited@gmail.com : Asif Iqbal : Asif Iqbal
  3. khansajeeb45@gmail.com : সজিব খান : সজিব খান
  4. naeemnewsss@gmail.com : সাকিব আল হেলাল : সাকিব আল হেলাল
  5. khoshbashbarta@gmail.com : ইউনুছ খান : ইউনুছ খান
সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
খোশবাস বার্তা

চটপটি খাইয়ে অবচেতন করে পরিকল্পিত হত্যা করা হয় ইয়াসমিন আক্তার কে!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২
  • ১৩৩৪ বার পঠিত

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় অগ্নিকান্ডে নিহত হওয়া ইয়াসমিন আক্তার(২১) কে পরিকল্পিত হত্যা কান্ডের অভিযোগ তুলেছেন ইয়াসমিন আক্তারের পরিবার।

ইয়াসমিন আক্তার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের ডেউয়াতলী গ্রামের আলতাফ মিয়ার প্রথম সংসারের রেজাউলের স্ত্রী। রেজাউল ভালোবেসে চাঁদপুর জেলাধীন মতলব উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের ডিঙ্গা ভাঙ্গা গ্রামের মুন্সীবাড়ীর মৃত মোঃ আক্তার মুন্সীর ছোট মেয়ে মোসাম্মাৎ ইয়াসমিন আক্তার (২১)কে বিবাহ করেন।

নিহত ইয়াসমিন আক্তারের ছোট ভাই রাকিব হাসান খোশবাস বার্তাকে বলেন, “আমার বোনের জামাই রেজাউল বড় আপাকে ভালোবেসে বিবাহ করেন গত তিন বছর পূর্বে তাদের কয়েকজন আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে।বিয়ে করেই তিনি মালদ্বীপ চলে যান। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি ছুটিতে দেশে এসে কাবিন করে আমার বোনকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। রেজাউলের আপন মা না থাকায় তাদের সংসারে সৎ মায়ের তত্বাবধানে প্রায় ঝগড়াঝাটি করত আমার বোনের সাথে। ঝগড়া করে অনেক সময় আমার বোনকে চাপ দিতেন টাকা পয়সা আনার জন্য, বিভিন্ন ভাবে মানসিক অত্যাচার সহ শারীরিক নির্যাতন করতেন। আমার বোনের মৃত্যুর দুইদিন পূর্বে প্রচুর মারধর করেছে আপাকে।আপা সেই ছবি আমাদের কে ইমুতে পাঠিয়ে ছিল। ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৯.০০ টায় আমাদের সাথে ফোনে কথা বলছিল সেই সময় তাদের বাড়ির পাশের মাহফিল থেকে চটপটি এনে আমার বোনকে খাওয়ানোর পর ফোনে আপা বলতেছে আমার শরির ভালো লাগছে না রে আমি এখন ঘুমাব এই বলে ফোন রেখে দেয়। ১১ মার্চ সকালবেলা দুলাভাই আমাদের কে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে বলে, ঘরে আগুন লেগে ইয়াসমিন পুড়ে মারা গেছে”

১১ মার্চ ইয়াসমিন আক্তারের আত্মীয়স্বজনেরা রেজাউলের বাড়িতে এসে ইয়াসমিনের লাশ দেখে সন্দেহ করেন এবং পরবর্তীতে বরুড়া থানায় একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দায়ের করার জন্য আসেন। ইয়াসমিন আক্তারের মামা মোস্তফা মিয়াজি বলেন, “বরুড়া থানায় এসে আমরা অভিযোগ পেশ করলে ওসি সাহেব আমাদের কে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকুন আমরা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত করব।

ইয়াসমিন আক্তারের ছোট ভাই রাকিবের দেওয়া তাঁর দুলাভাই রেজাউলের ফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে নাম্বার বন্ধ পাওয়ায় রেজাউলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার খোশবাস বার্তাকে বলেন, বরুড়া থানা পুলিশ আন্তরিক ভাবে ঘটনাটিকে তদন্ত করছেন এবং থানায় একটা অপমৃত্যুর মামলাও হয়েছে এখন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে আরো বেশি অগ্রগতি হয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ঝলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম খোশবাস বার্তাকে বলেন, ঘটনার দিন সকালে আমার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ডেউয়াতলী গ্রাম থেকে রেজাউল আমাকে ফোনে অবহিত করলে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং তাদের পরিবারের কথা শুনে তাদের কে শান্তনা দিয়ে আসি পরবর্তীতে মেয়ের পরিবার অভিযোগ করে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এখন আমরা আশা করি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যে অপরাধী হবে তাকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্তা নিবেন।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ ভোর ৫.৪৫ মিনিট সময়ে বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের ডেউয়াতলী গ্রামের আলতাফ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসমিন আলতাফ মিয়ার ছেলে রেজাউলের স্ত্রী। গত দুই মাস পূর্বে নববধূ সেঁজে আলতাফ মিয়ার বাড়িতে আসেন ইয়াসমিন।
হাতের মেহেদী না শুকাতেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলেন ইয়াসমিন।

খোশবাস বার্তা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
corona safety
সত্বাধিকার © খোশবাস বার্তা ২০১৬- ২০২১
ডেভেলপ করেছেন : TechverseIT
themesbazar_khos5417