কুমিল্লার বরুড়ায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে খোশবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
অজ্ঞাতনামা প্রতারক চক্র এক মহিলা খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের খোশবাস গ্রামের প্রবাসী মো. ইবরাহীম খলিল এর মেয়ে ইফরাত জাহান ইমুর (১০) কাছে থেকে হাতিয়ে স্বর্ণের কানের দুল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১.৩০ মিনিট সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীর মা জানিয়েছেন।
খোশবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইফরাত জাহান ইমু’র মা রাইমা বেগম খোশবাস বার্তাকে জানান, আজ সকাল ১০.০০ টার সময় স্কুলে কোচিং করতে গিয়েছে আমার মেয়ে। আনুমানিক ১১ টার দিকে কোচিং ক্লাসে এক মহিলা মুখোশপরা অবস্থায় সাথে ছয় সাত বছরের এক বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলের রেখা ম্যাডামের কাছে গিয়ে বলে তার বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাবে কখন ভর্তি করবে এইসব কথা ম্যাডাম কে জিজ্ঞেস করে আর ছাত্রছাত্রীদের দিকেও তাকায়।এই রকম করে স্কুলের ক্লাস রুম থেকে অফিস রুমে হাঁটাহাঁটি করে যখন কোচিং ছুটি দেওয়ার সময় হয় তখন মহিলাটি স্কুলের গেইটের বাহিরে চলে আসে। আমার মেয়ে যখন বাড়ি ফেরার পথে স্কুল গেইট অতিক্রম করছে ঠিক সেই মুহূর্তে মহিলাটি তার সাথে থাকা বাচ্চাকে নিয়ে এসে আমার মেয়েকে বলে এই শোন না তোমার আম্মুর নাম কিনা? আমার মেয়ে আমার নাম বলায় মহিলাটি ভনিতা করে বলে তোমার আম্মু আমাকে পাঠিয়েছে মা তোমাকে নিয়ে যেতে এই বলে হাকিম ভাইয়ের দোকানে গিয়ে দুইটা ডালভাজা কিনে দিয়ে বলে খাও, তারাতারি চলো তোমার আম্মু অপেক্ষা করছে। এটাসেটা বলে ইলাশপুর মাগুনবাড়ি মসজিদের কাছে নিয়ে বলে তোমার আম্মু বাঁশতলী বাজারে অপেক্ষা করছে গাড়িতে উঠো।একটা অটোরিকশায় উঠে বাঁশতলী বাজার নেমে আবার আমার মেয়েকে বলে তোমার আম্মু সামনে চলে গেছে চলো চলো।তারপর বাঁশতলী বাজার থেকে রামমোহন বাজার যাওয়ার পথে দাঁদিসার গ্রামের কাছে নির্জন রাস্তায় অটোরিকশা থেকে নেমে আমার মেয়ের কানে হাত দিয়ে স্বর্ণের দুল গুলো খুলে ঐ মহিলা আমার মেয়ের হাতে ১৫/- টাকা গাড়িভাড়া দিয়ে বলে তোমরা বাড়ি চলে যাও তোমার দুল গুলো সুন্দর জিনিস বানিয়ে আমি তোমাদের বাড়িতে আসতেছি এই বলে মেয়েদের কে ফেলে রেখে মহিলা চলে যায় রামমোহন বাজারের দিকে চলে যায়।পরে আমার মেয়েদের পথচারী এক মহিলা তাদের কে গাড়িতে তুলে দেয়।বাড়িতে আসার পর আমার মেয়েটি প্রচুর ভয় পেয়েছে এখন তার শরিরে জ্বর চলে আসছে।
খোশবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে ঘটনার সত্যতা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলে তো কয়েকজন মহিলা গার্ডিয়ান এসেছিল এখন কার মনে কি ছিল আমরা তো বুঝতে পারিনি মেয়ের পরিবার আমাদের কে জানিয়েছে বিষয়টি আমরা শনিবার স্কুল খোলার পর দেখব বাজারের সিসি ক্যামেরা থেকে কোন তথ্য সংগ্রহ করা যায় কিনা।
ছাত্রীর বাবা প্রবাসী মো. ইবরাহীম খলিল খোশবাস বার্তা’কে মুঠোফোনে জানান, এটা অনেক দুঃখজনক ঘটনা একটা স্কুলে শিক্ষকরা যদি এত ঢিলেঢালা হয় তাহলে তো আমাদের বাচ্চারা নিরাপদে থাকবে না।আজ আমার মেয়ের সাথে হয়েছে অন্যদিন অন্য একজনের সাথে হবে।আমি চাই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে খতিয়ে দেখুক এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গুলো সংগ্রহ করে বরুড়া থানাকে জানিয়ে যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করে।