ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনার ‘সবুজ জোনে’ আগামী সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। ওই দিন থেকে সবুজ জোন এলাকায় যানবাহন চলবে। খুলবে দোকানপাট। গতকাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সন্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানান।
২৭ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন বহাল রাখা এবং না রাখা নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় বেশির ভাগ মুখ্যমন্ত্রী করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত ‘রেড জোনে’ লকডউন শিথিল না করার পক্ষে মত দেন। এ ছাড়া সবুজ জোন থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া বা শিথিল করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনার ‘সবুজ জোনে’ আগামী সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। ওই দিন থেকে সবুজ জোন এলাকায় যানবাহন চলবে। খুলবে দোকানপাট। গতকাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সন্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানান।
২৭ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন বহাল রাখা এবং না রাখা নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় বেশির ভাগ মুখ্যমন্ত্রী করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত ‘রেড জোনে’ লকডউন শিথিল না করার পক্ষে মত দেন। এ ছাড়া সবুজ জোন থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া বা শিথিল করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
পশ্চিমবঙ্গে সবুজ জোনে রয়েছে ৮টি জেলা। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর , বীরভূম, বাঁকুরা, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম।
গতকাল বুধবারের সংবাদ সন্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ৪ মে থেকে রাজ্যের সবুজ জোনে যাত্রীবাহী বাস, ট্যাক্সি—এসব গাড়ি চলাচল করবে। তিনি জানান, সবুজ জোনে মোবাইল রিচার্জের দোকান, লন্ড্রি, ইলেকট্রিকের দোকান, চায়ের দোকান, পানের দোকান খোলা যাবে। তবে চা আর পানের দোকানে জটলা করা যাবে না। কিনে চলে যেতে হবে। খুলবে না হকার্স মার্কেট, ফুটপাতের দোকান, সেলুন ও বিউটি পার্লার। এলাকার ছোটখাটো মুদি দোকান, নিত্যপ্রয়োজনীয় স্টেশনারি দোকান খুলবে।
এর আগে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন করোনা চিকিৎসাকেন্দ্রে এখনো ৭৯০টি বেড ফাঁকা। তিনি বলেন, নতুন করে ৫১টি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য হাতে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
মমতা জানান, রাজ্যের এই লকডাউন মে পর্যন্ত চলতে পারে। সবাইকে তিনি মাস্ক পরে বের হতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ফের জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের লাল জোনের ৪ জেলার ৩৪৮টি কন্টেনমেন্ট জোনে কড়াকড়িভাবে চলবে লকডাউন। এই ৩৪৮টি কন্টেমেন্ট জোনের মধ্যে ২২৭টি রয়েছে কলকাতায়।
গতকাল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছে ২৮ জন। কেউ মারা যাননি। এই নিয়ে এই রাজ্যে মৃত মানুষের সংখ্যা ২২। আর আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪১। সুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছে ১১৯ জন।