1. asifiqballimited@gmail.com : Asif Iqbal : Asif Iqbal
  2. Kamrulsohan55@gmail.com : কামরুল সোহান : কামরুল সোহান
  3. khoshbashbarta@gmail.com : ইউনুছ খান : ইউনুছ খান
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
খোশবাস বার্তা

ভারতে শুধু গরিবের জন্য দরকার ৬৫ হাজার কোটি টাকা : রঘুরাম রাজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০
  • ১০৪৬ বার পঠিত
খোশবাস বার্তা

করোনার মোকাবিলায় শুধু ভারতের গরিবদের জন্যই দরকার ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন এই হিসাব দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এক ভিডিও আলোচনায় গত বুধবার রাতে রাজন এই কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন সম্ভবপর নয়।

করোনার মোকাবিলায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচের কথা জানিয়েছে।

করোনা-সংকট থেকে দেশকে টেনে বের করার জন্য কী কী করণীয় তা জানতে রঘুরাম রাজনের সঙ্গে রাহুলের এই আলাপ। করোনায় দেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব ও প্রান্তিক মানুষজন। লকডাউনে যাঁদের জীবন দুর্বিষহ। আলাপচারিতার সময় রাহুল সোজাসুজি জিজ্ঞেস করেন, এই সব গরিব ও প্রান্তিক মানুষের সাহায্যে কত টাকা দরকার? জবাবে রাজন বলেন, অন্তত ৬৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। এটা খুব বিরাট একটা অঙ্ক নয়। এই টাকায় গরিবদের প্রাণ অন্তত বাঁচানো যাবে।
ভারতের সর্বত্র লকডাউন শুরু হয় ২৪ মার্চ মধ্যরাত্র থেকে। টানা ২১ দিনের ওই লকডাউন পর্ব শেষ হয় ১৪ এপ্রিল। সেই দিন থেকে দ্বিতীয় দফায় আরও ১৯ দিনের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৩ মে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। আপাতত জল্পনা, লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কি না। হরে পূর্ণাঙ্গ নাকি আংশিক। এই প্রসঙ্গে রাহুলের প্রশ্নের জবাবে রাজন বলেন, অনন্তকালের জন্য লকডাউন চালানো যায়। কিন্তু ভারতের অর্থনীতি তা সইতে পারবে না। টেকসই হবে না। রাজন বলেন, বুদ্ধি খাটিয়ে লকডাউন তুলতে হবে। ধীরে ধীরে। বহু দিন ধরে দেশের মানুষকে খাওয়ানোর মতো সামর্থ্য ভারতের নেই। পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলতে হবে। প্রয়োজনে আক্রান্তদের অন্যদের কাছ থেকে সরিয়ে রাখতে হবে। আলাদা বা পৃথক করতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতির সামাল দিতে হবে।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাহুল বিভিন্ন পেশার কৃতী ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন ঠিক হয়েছে। অর্থনীতি নিয়ে রঘুরাম রাজনের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলবেন ঠিক আছে। উদ্দেশ্য, সরকার যাতে এই সব আলাপচারিতা থেকে উপকৃত হয়।

ভারতের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কতটা কার্যকর রাহুলকে সে প্রশ্ন করেন রাজন। জবাবে রাহুল বলেন, একটা সময় পর্যন্ত পঞ্চায়েত ব্যবস্থা খুবই কার্যকর ছিল। ক্ষমতা এখন অনেক বেশি কেন্দ্রীভূত। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলো এখন বেশি আমলানির্ভর। জেলা শাসকদের ওপর নির্ভরতা অনেক বেশি। রাজন এই সময় বলেন, এই সংকটে ঐক্যবদ্ধ না হলে মুশকিল। সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা খুবই জরুরি। রাহুল মন্তব্য করেন, এই সংকটে বিভেদ ও ঘৃণা সমাজের খুব ক্ষতি করছে।

আধা ঘণ্টার এই কথোপকথনের সময় রাহুলের কাছে রাজন জানতে চান,সংকটের মোকাবিলায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য তাঁর চোখে পড়ছে। জবাবে রাহুল প্রবল বৈষম্যের উল্লেখ করেন। রাহুল বলেন, বৈষম্যের প্রাবল্য বিরক্তিকর। ভারতে অনেক ধরনের সামাজিক পরিবর্তন আনা দরকার। বিভিন্ন রাজ্যের সমস্যা বিভিন্ন ধরনের। সবার সমাধান এক ধরনের হতে পারে না। তাতে কাজ হয় না। কিন্তু এ দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ একটা বড় ব্যাপার। এটা একটা সমস্যা।

খোশবাস বার্তা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
corona safety
সত্বাধিকার © খোশবাস বার্তা ২০১৬- ২০২৪
ডেভেলপ করেছেন : TechverseIT
themesbazar_khos5417