করোনাকে উপেক্ষা করে গ্রাম্য আদালতে আজকের জনতার বিচার ব্যবস্থায় বরুড়া উপজেলা ও চান্দিনা উপজেলার শত শত উৎসুক জনতা ভীর করে।
গ্রাম্য আদালতে চান্দিনার মাইজখার ইউনিয়ন ও বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নে আলোচিত দরবারিরা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম মাইজখার ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন খোশবাস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী চেয়ারম্যান, মোঃ আবদুল ওয়াদুদ,তাহেরি তৌহিদ কামরান ভূঁইয়া, আক্কাস আলী সর্দার, মোঃ জহিরুল ইসলাম,মোঃ আবু কালাম ভূঁইয়া, তমিজ ভূঁইয়া, খোকন মেম্বার, মোঃ শাহজাহান, যুবলীগ সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন,মোঃ ফরিদ উদ্দিন সহ প্রমুখ।
বিচারকরা সাক্ষী সাপেক্ষে দফায় দফায় চুলচেরা বিশ্লেষণ শেষে নারায়ণপুর গ্রামের ৬ তরুণ কে দুষি সাব্যস্ত করে দুই তরুণ কে জরিমানা মহকূফ করা হয় আর বাকি চার তরুণ কে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। চারজন সরাসরি অপরাধের সাথে জড়িত আর দুই জন তাদের সাথে না বুঝে জড়িত হওয়ায় তাদের কে জনতার আদালতে ক্ষমা চাইতে বলা হয় তারা ক্ষমা চেয়ে আর কোনদিন অপরাধের সাথে জড়িত হবেনা বলে স্বীকৃতি প্রদান করে।
খোশবাস ইউনিয়নের ফকিরা বাজার কমিটির বিচার ব্যবস্তায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রসুলপুর গ্রাম বাসী বলেন, আমরা বিচার পেয়েছি তবে আমরা আগের মতই আপনাদের বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য করব তবে আপনারা আমাদের কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন পুনরায় প্রকাশ না পায় সেই দিকে দৃষ্টি রাখবেন।
খোশবাস ইউনিয়ন এর আওয়ামীগ নেতা মোঃ ওয়াদুদ বলেন, তরুণদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই অপরাধীদের ক্ষমা নেই খোশবাস ইউনিয়নে অপরাধ যে করবে তাকে কঠিন বিচারের আওতায় আনা হবে ভবিষ্যতে অতএব তোমরা সাবধান হয়ে যাও।
মাইজখার ইউনপির সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন বলেন, আমি আজ দরবার করতে আসিনি আমি এসেছে আমার মামার এলাকা খোশবাসের বিচার ব্যবস্থা দেখতে।আমি অনেক আনন্দিত হয়েছি আজকের বিচার ব্যবস্থায় খোশবাস ইউনিয়নবাসী স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এসেছেন এবং সঠিক বিচার আপনারা করতে পেরেছেন তার জন্য আপনাদের কে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার, বরুড়া উপজেলাধীন দ্বিতীয় বৃহত্তর গরুর হাট খোশবাস ইউনিয়নের ফকিরা বাজার কমিটির কিছু অংশবিশেষ যুবক চান্দিনার রসুলপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মনির হোসেন কে মারধর করে নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল।