1. asifiqballimited@gmail.com : Asif Iqbal : Asif Iqbal
  2. Kamrulsohan55@gmail.com : কামরুল সোহান : কামরুল সোহান
  3. khoshbashbarta@gmail.com : ইউনুছ খান : ইউনুছ খান
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
খোশবাস বার্তা

কোন পন্য ক্রয় করে আপনি হয়রানীর শিকার হলে কি করবেন?

জয়নাল আবেদীন মাযহারী, এল এল. এম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়. অ্যাড. জজ কোর্ট কুমিল্লা।
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২ মে, ২০২০
  • ১৪২৯ বার পঠিত
খোশবাস বার্তা

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের জন্য সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন প্রনয়ন করে অপরাধীদের শাস্তির বিধান করেছে। বর্তমান চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ভোক্তারা চরম ভাবে অধিকার বঞিত হওয়ার ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই আজকে উক্ত বিষয়ে আইনের বিধান উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। এ বিষয়ে জানার জন্য আমাদেরকে সর্ব প্রথম জানতে হবে আইনে ভোক্তা বলতে কাদেরকে বুজানো হয়েছে। আমাদের ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর বিধান মতে ভোক্তা অর্থ এমন কোনো ব্যক্তি যিনি (ক) পূনঃবিক্রয় ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত- (অ) মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে কোনো পণ্য ক্রয় করেন : (খ) যিনি ক্রেতার সম্মতিতে (ক) এ উল্লিখিত কৃত পণ্য ব্যবহার করেন;
ব্যবসায়ীদের যেসব কাজ ভোক্তা অধিকারবিরোধী কাজ হিসেবে গণ্য হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ তে এ বিষয়ে বিষদ বিবরণ রয়েছে।
যেমন: আইনটিতে বলা হয়েছে,ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্য অর্থ,
ক. কোনো আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোনো পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা; খ. জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা;
গ. মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক কোনো দ্রব্য, কোনো খাদ্যপণ্যের সাথে যার মিশ্রণ কোনো আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, উক্ত রূপ দ্রব্য মিশ্রিত কোনো পণ্য বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা;
ঘ. কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রির উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপনে ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা;
ঙ. প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করা;
চ. কোনো পণ্য সরবরাহ বা বিক্রির সময় ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত ওজন অপেক্ষা কম ওজনের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;
ছ. কোনো বিক্রি বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শনকারী হওয়া;
জ. কোনো পণ্য বিক্রি বা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত পরিমাপ অপেক্ষা কম পরিমাপের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;
ঝ. কোনো পণ্য বিক্রি বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছু প্রকৃত দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অধিক দৈর্ঘ্য প্রদর্শনকারী হওয়া;
ঞ. কোনো নকল পণ্য বা ওষুধ প্রস্তুত বা উৎপাদন করা;
ট. মেয়াদোত্তীর্ণ বা ওষুধ বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা; বা
ঠ. সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে এমন কোনো কার্য করা, যা কোনো আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উক্ত আইনে বিক্রেতাদের যেসব কার্যকলাপকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে তা হলো-
ক. আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত হওয়া সত্ত্বেও পণ্যে মোড়ক ব্যবহার না করা;
খ. মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করা;
গ. সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা; ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রি করা;
ঘ. ভেজাল পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করা;
ঙ. খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণ করা;
চ. মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাসাধারণকে প্রতারিত করা;
ছ. প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করা;
জ. ওজনে কারচুপি করা;
ঝ. বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শন করা; ঞ. পরিমাপে কারচুপি করা;
ট. দৈর্ঘ্য পরিমাপক কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপি করা;
ঠ. পণ্যের নব প্রস্তুত বা উৎপাদন করা;
ড. মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করা;
ঢ. সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করা এবং
ণ. অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দিয়ে সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানি ঘটানো।
অপরাধী বিক্রেতার শাস্তি ও জরিমানার বিষয়ে আইনের বিধান:
জীবননাশক বা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক বা ভারী ধাতু বা বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত কোনো খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, আমদানি, প্রস্তুত, মজুদ, বিতরণ, বিক্রয় বা বিক্রয়ের অপচেষ্টা করলে অনূর্ধ্ব সাত বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। পুনরায় একই অপরাধ করলে সাত বছর থেকে অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
এ ছাড়া দূষণ মিশ্রিত কোনো খাবার বিক্রি করলে; শর্ত ভঙ্গ করে কোনো খাদ্যদ্রব্য মজুত বা প্রস্তুত করলে; অনুমোদিত ট্রেডমার্ক বা ট্রেডনামে বাজারজাত করা কোনো খাদ্যপণ্য নকল করে বিক্রয়ের চেষ্টা করলে; খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা সংরক্ষণের স্থানে শিল্প-কারখানার তেল বা খনিজ বা বর্জ্য থাকার অনুমোদন দেওয়াসহ এমন ২০ ধরনের অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব সাত বছর থেকে কমপক্ষে দুই বছর শাস্তি এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা অথবা কমপক্ষে তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়ানোর বিধান রাখা হয়েছে।
উক্ত সব বিষয়ে আমরা কেহ ভুক্তভোগী হলে অবশ্যই আদালতে অথবা ভ্রাম্যমান আদালতের হট লাইনে ফোন করে প্রতিকার পাইতে পারি। সেই ক্ষেত্রে অভিযোগকারী উক্ত জরিমানার ২৫% টাকা উৎসাহ পুরস্কার হিসাবে পাওয়ার বিধান ও রয়েছে।

 

 

খোশবাস বার্তা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
corona safety
সত্বাধিকার © খোশবাস বার্তা ২০১৬- ২০২৪
ডেভেলপ করেছেন : TechverseIT
themesbazar_khos5417