তবে করোনার কারণে রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদেও সর্বসাধারণের মাঝে নতুন টাকা বিনিময়ের সুযোগ রাখা হচ্ছে না।তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নতুন টাকা বিনিময় করা হবে। এ প্রক্রিয়া চলতি সপ্তাহে শুরু হতে পারে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোরবানির কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে নগদ টাকার চাহিদা বেশি হবে। এটা বিবেচনায় নিয়ে এবার ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই একেবারে নতুন নোট। এবার নগদ টাকার চাহিদা কম হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে সাধারণের মাঝে নতুন টাকা বিনিময়ের সুযোগ রাখা হয়। কিন্তু করোনার কারণে এই সুযোগ রাখা হচ্ছে না। ফলে গতবারের চেয়ে এবার চাহিদা কিছু কম হবে বলেই মনে হচ্ছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, বছরের সব সময়ই নতুন নোট ছাপানো হয়। তবে ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বেশি থাকায় ছাপানোর পরিমাণও বাড়াতে হয়। কোরবানি দেওয়ার জন্য অনেকে পশু কিনবে। এতে নগদ টাকার লেনদেন বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন নোট ছাড়া হচ্ছে। এবার নতুন মুদ্রার মধ্যে রয়েছে ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। কোরবানিতে পশু কেনাবেচায় বড় অঙ্কের লেনদেন বেশি হয়। তাই এবার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বেশি ছাড়া হবে।
তবে আগের মতোই সমপরিমাণ পুরাতন নোট বাজার থেকে অপসারণ করা হবে। প্রথমে ২৫ হাজার কোটি টাকার নোট সরবরাহ করা হবে। পরে প্রয়োজন হলে আরো নতুন নোট ছাড়া হবে।