এই মুহুর্তে বরুড়া উপজেলায় তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয় মানুষটার নাম এস কিউ গ্রুপের কর্ণধার শফিউদ্দিন শামীম। করোনা কালে বরুড়ার মানুষের দুঃখ স্পর্শ করেছে এই মানুষটার মধ্যে। যদিও আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই তাঁর সাথে।কিন্তু মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে তিনি যেইভাবে বরুড়ার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে মানবিক ভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা কল্পনাতীত! তিনি কোন দলের রাজনৈতিক ব্যানারে আসেননি তিনি এসেছেন দুর্যোগকালিন মুহূর্তে তাঁর কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে ক্ষুদার রাজ্যে বরুড়ার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মধ্যে আলো ফোটাতে। প্রথম বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতে লকডাউন কালে তিনি ভাবলেন,বরুড়ায় শত শত অটোরিকশা, ভ্যান চালক, সি এন জি ড্রাইভারদের ইনকাম সোর্স এখন বন্ধ আত্মসম্মানের কারণে কারো কাছে হাত পাতবে না তারা, না খেয়ে থাকলেও বলবেনা কারো কাছে। তাদের জন্য প্রথমে ৫০ লক্ষ্য টাকার খাদ্য সামগ্রী প্রদান করলেন।প্রতি ড্রাইভার কে ২৫ কেজি করে চালের বস্তা দিলেন। পরবর্তীতে ভাবলেন, বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ ও সাংবাদিকদের কথা তাদের কেও দিলেন ঈদ উপহার সামগ্রী। বরুড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ক্ষুদার্ত মানুষের কথা ভেবেই ক্রান্ত হননি তিনি তাঁর নীজ গ্রাম আড্ডা ইউনিয়নে সকল পেশাজীবি দরিদ্র মানুষদের কে ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন।
সর্বশেষ গত ১৮ জুন সকাল ৮.০০ টায় আকস্মিক টর্নেডো আঘাত হানে আড্ডা ইউনিয়নে।অত্র ইউনিয়নের ৩৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।গৃহহীন মানুষের হাহাকার তাঁর হৃদয় স্পর্শ করেছে।তিনি আজ ২০শে জুন আড্ডা ইউনিয়নের ৩৪টি বিধ্বস্ত পরিবারের মধ্যে ৫০০০/- হাজার টাকা করে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বিতরণ করেন। এমন মানবিক হৃদয়স্পর্শী শফিউদ্দিন শামীম যেন মহানায়কের মতই বরুড়ার মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে যাচ্ছেন। টাকা দিয়ে টাকাকে এনজয় করা যায়না তা তিনি উপলব্ধি করেই এই দুর্যোগকালীন মুহূর্তে বরুড়ার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে যেই মমতার ভান্ডার দেখিয়েছেন তা যেন তিনি আমৃত্যু বরুড়ার মানুষের পাশে থেকে সেবা দিতে পারেন এই শুভ কামনা রইল।
শফিউদ্দিন শামীম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর সদস্য সচিব মোঃ তোফায়েল হোসেন পুরো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে তিনি আন্তরিক ভাবে বরুড়ার মানুষের পাশে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন যা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।