আজ আমরা কুমিল্লার ৪জন সাহসী মানুষের কথা জানব।
১) ডা. ফেরদৌস খন্দকারঃ কুমিল্লার দেবিদ্বারের সন্তান। পেশায় একজন ডাক্তার। করোনার এই কঠিন সময়ে নিউ ইয়র্কের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশী আমেরিকান করোনা রুগীদের পাশাপাশি বিদেশী রুগীদেরও।
এছাড়া মানুষকে অনলাইনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে নিজ উদ্যোগে ।বাংলাদেশের ডাক্তার , পুলিশ , সাংবাদিকদের দিয়েছেন পিপিই , N95 ( ১ নং ) মাস্ক , গ্লাভসসহ কুমিল্লার প্রতিবন্ধীদের অর্থ ও খাদ্য সাহায্য করেন তিনি।
২) শাহাদাত হোসাইন তাসলিমঃ আল্ রশীদ ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে তিনি জাতীয় ভাবে প্রতিদিন গড়ে ১০/১২ করোনা মৃতের লাশ দাফন করে যাচ্ছেন , এ পর্যন্ত ১০০ ‘র কাছাকাছি লাশ দাফন হয়ে গেছে তাঁর। ঢাকা সহ সারা দেশেই তিনি কাজ করে যাচ্ছে মানুষের কল্যাণে।
আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম ধর্ম মন্ত্রনালয়কে লাশ দাফনে অপারগতা প্রকাশের পর , তাসলিম সাহেব আল্ রশীদ ফাউন্ডেশন গঠন করেন এবং সাতটি ফ্রিজিং লাশ টানার গাড়ী, কয়েকটি এম্বুলেন্স নিজ টাকায় কিনেন, তাছাড়া ত্রিশ জন স্বেচ্ছাসেবককে ট্রেনিং দিয়ে লাশ ধোয়া ও দাফন কাজে নিয়োজিত করেন ।
৩) ইউসুফ মোল্লা টিপুঃ কুমিল্লা মহানগরে এ পর্যন্ত নিজে উপস্থিত থেকে করোনায় মারা যাওয়া প্রায় আটটি দাফনকাজ সম্পাদন করেছেন তিনি। নিজ এলাকাজুড়ে যথেষ্ট ত্রাণ বিতরণ করে মানুষের কল্যাণ করে যাচ্ছেন।
৪) আবু কাউসার অনিকঃ কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় ৪১ সদস্য বিশিষ্ট হ্যালো ছাত্রলীগ হট লাইন চালু করেন তিনি । দেবিদ্বারে করোনা মৃত প্রায় সকল লাশের দাফন তারাই করেছেন ।
তাদের এই ঋণ কি শোধ হবার? পৃথিবীর এই কঠিনতম দিনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমত করে যাচ্ছেন মানব সেবা।
খোশবাস বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।