নেতৃত্ব হল এমন এক “সামাজিক প্রভাবের প্রক্রিয়া যার সাহায্যে মানুষ কোনও একটি সার্বজনীন কাজ সম্পন্ন করার জন্য অন্যান্য মানুষের সহায়তা ও সমর্থন লাভ করতে পারে।”এমনি এক গুণে গুণাবলি ছিলেন বরুড়া উপজেলার এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা আলহাজ্ব এম এ হাকিম।
পাকিস্থান বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী ও কুমিল্লা জেলাধীন প্রখ্যাত আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব এম এ হাকিমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৩ মার্চ, বুধবার।
এম এ হাকিম ১৯২৯ সালের কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলাধীম বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা সৈয়দ আলী ছিলেন একজন মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী।স্বাধীনতার আন্দোলনের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় কর্মী এম এ হাকিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন ।
ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের বরুড়া উপজেলার আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ সরকারের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কুমিল্লা-১৩ আসন থেকে। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে কুমিল্লা-৭ আসন থেকে ৭ম সংসদীয় আসনে শেখ হাসিনার সাথে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আলহাজ্ব এম এ হাকিম সাধারণ জীবন যাপন করতেন নেতা কর্মীরা তাঁর অতি স্নেহ আদরের ছিলেন, যে কোন সাধারণ মানুষ তাঁর কাছে ভালোবাসা পাত্র হয়ে উঠেছিলেন।তিনি মানুষ কে ভালোবেসেছেন অকাতরে বরুড়ার মানুষও তাঁর নাম বুকের পাজরে লিখেছে মমতার বন্ধনে। তিনি চার বার জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আলহাজ্ব এম এ হাকিম বরুড়ার মানুষকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চিরতরে না ফেরার দেশে চলে যান।
মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে এম এ হাকিম তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। তাঁর তিন ছেলে এখন প্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম একটা কলেজের অধ্যক্ষ, মেঝো ছেলে কামরুল ইসলাম আইনজীবী, ছোট ছেলে এ এন এম মইনুল ইসলাম বর্তমানে বরুড়া উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।