অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার বায়োটেকনোলজিস্ট ড. সুলতানা পারভীন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, মেরিন ফিশারিজ মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পিআরএল) মোঃ গোলাম কিবরিয়া, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর ডিরেক্টর সাপ্লাই চেইন মাহবুবুল আলম,বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মেহেদী হাসান, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, খোশবাস উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম,খোশবাস উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সরদার, মুন্সী আব্দুর রশিদ-জমিলা খাতুন ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা ফেরদৌস, ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন নিপু,অনুষ্ঠানের সম্বনয়ক ও খোশবাস বার্তা’র সম্পাদক মো. ইউনুছ খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলাম বলেন, আজকের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের বাজেটের পরিমাণ অল্প থাকতে পারে তবে এই অল্প পরিমাণ বাজেটের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনটি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আশা করি মেধাবৃত্তির অর্থ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে। পরবর্তী সময়ে বৃত্তি প্রদানের পরিধি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এবং এই প্রজেক্টটি চলমান থাকবে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে একজন দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সভাপতি ড. সুলতানা পারভীন বলেন,এই আয়োজনের অংশে অংশীদার হিসেবে আমি নিজেকে সার্থক মনে করছি। একজন ভালো শিক্ষার্থীর পড়াশোনা যেন শুধু মুখস্থের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে সেদিক সকলেই নজর রাখতে হবে। এছাড়া মেধাবৃত্তির শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগামীতে আরো বেশি বৃদ্ধি করে সমগ্র বরুড়া উপজেলায় করার প্রচেষ্টা থাকবে এই ফাউন্ডেশনের।
জি এম ফারুক বাবলুর উপস্থাপনায় মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের নাম ঘোষণা করেন, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলম পাটোয়ারী।
উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে ৩টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জন মেধাবী ও ৩৫ জন কে সাধারণ ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রথম জন কে ৩৫০০ টাকা ও সনদ, দ্বিতীয় জনকে ২৩০০ টাকা ও সনদ, তৃতীয় জনকে ১২০০ টাকা, সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৩৫ জন কে ৬০০হারে মোট ৫৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।